নাগরপুরে ৮৩ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি শান্ত রাণী” শিরোনামে জাগরণ বার্তা২৪ ডটকম অনলাইনে ২৮ জুন রবিবার এবং প্রিন্টে সংবাদ প্রকাশের দুই দিন পর বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছেন সেই বৃদ্ধা শান্ত রানী মন্ডল।
আজ ৩০ জুন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে তাঁর হাতে বয়স্ক ভাতার এ কার্ড তুলে দেন। পাশাপাশি তাঁকে দ্রুত আর্থিক সহযোগিতাও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সৌরভ তালুকদার, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন মোল্লা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল প্রমূখ।
শান্ত রানী মন্ডলের বাড়ি উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগ দিঘলীয়া গ্রামে। তিনি গ্রামের মৃত অনন্ত চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী। তাঁর বয়স ৮৩ পেরিয়েছে কিন্তু আজকের আগেও তাঁর নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায় ওঠেনি।
সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীর জন্য বয়স ৬২ ও পুরুষের জন্য ৬৫ বছর হওয়া প্রয়োজন। সে হিসেবে শান্ত রানী মন্ডল প্রায় ২০ বছর আগে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা ছিল। অবশ্য বাংলাদেশে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রথম ‘বয়স্ক ভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়।
শান্ত রাণী মন্ডল কার্ড হাতে পেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, করোনার এই দূর্যোগের সময় ভাতার কার্ড আমার সংসারে অন্ন যোগানের ব্যবস্থা করল। স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি ছোট ছেলের কাছে থাকি। আমার অন্য ছেলেমেয়েরা কেউ আমারে দেখে না। একটু খেয়ে পড়ে চলার জন্য ভাতার কার্ড আমাকে সহযোগিতা করবে। তিনি এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড করার সময় আমাদের অগোচরে হয়তো কারও নাম বাদ পড়ে যায়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি প্রকৃত বয়স্করা যেন ভাতার আওতায় আসে। আমরা বয়স্ক শান্ত রাণীর বিষয়টি পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে ওই বৃদ্ধার অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তার বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করেছি।
Facebook Comments