গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় ফল হল কালো জাম। কালচে বেগুনি রঙের এই ফলটি খেতেও যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরা। পাকা জামের পুষ্টির কথা জানলে সত্যি অবাক হতে হয়।
জেনে নিন গুণগুলো:
*আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জাম খেলে রক্তশূন্যতা ও হাড়ক্ষয় রোগ দূর হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
*মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত ও মাড়ি শক্ত ও মজবুত করে। বিভিন্ন ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
*হজমশক্তি বাড়ায়, ঠাণ্ডা এবং অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়।
*হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরল ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে।
*জামকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার বলা হয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
* ত্বক ভালো রাখে, ত্বকের ব্রণ ও কালো ছোপ দূর হয়। দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখে।
*জাম ও জামের বীজ ডায়াবেটিস হলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
জামের বীজে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এরপর এক সপ্তাহ রোদে খুব ভালো করে শুকিয়ে নিন। এরপর মিক্সিতে খুব ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। গুঁড়ো করার পর চালনিতে চেলে তার থেকে বড় দানাগুলো বেড় করকরে নিন। এরপর একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে এই গুড়ো সংরক্ষণ করুন। এরপর প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস জলে এক চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে খব সহজেই নিয়ন্ত্রনে থাকবে ডায়াবেটিস।
সুস্থ থাকতে বেশি করে জাম খান। মনে রাখবেন বছরের এই সময়ে মাত্র কয়েক দিনই কিন্তু জাম পাওয়া যায়।
Facebook Comments