এবার ঈদকে টার্গেট করে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের রখামারীরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে। এবার কোরবানির হাটে আসছে নাগরপুরের লাল বাদশা। লাল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে বাদশা। বাদশা খুবই শান্তশিষ্ট একটি ষাড় গরু। গরুটি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চাঁনপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস ছালাম এর আদর যত্নে পালিত গরু। যার ওজন প্রায় ২০ মণ। খুবই শান্ত, রোগ মুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই লাল বাদশার। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চাঁন পাড়া ছালামের বাড়িতে এসে বাদশাকে দেখে যান।
গরু পালনের বিষয়ে খামারি ছালাম বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার পল্লী ডা.বোরহানের সাথে যোগাযোগ করি। স্যার বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজন এর ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুকি দুইই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে। এ সকল বিষয় স্যারের পরামর্শেই আজ বাদশার ওজন প্রায় ৮২০ কেজি। মোটা তাজা করার ব্যাপারে কোন প্রকার ঔষধ ও ইনজেকসন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
লাল বাদশা দামের প্রত্যাশায় ছালাম আরো বলেন, বাজার বরাবর বিক্রি করতে হবে। বাজারে ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর নির্ভরশীল তবে আমি ৮ লক্ষ টাকা চাচ্ছি। আগামী ঈদের তিনি এমন গরু নাগরপুরবাসী কে উপহার দেবে কি না প্রশ্নের জবাবে বলেন, যদি পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই তবে অবশ্যই চেষ্টা করব আরো ভাল মানের গরু তৈরি করার।
Facebook Comments