দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সাড়ে ১১টায় মহাদবেপুর উপজেলা সদরের মাছ চত্বরে মহাদেবপুরবাসী ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবার বাড়ি মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ দুলালপাড়া গ্রামে।
মহাদেবপুর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের পরিচালক ও সংস্কৃতিকর্মী ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, মহাদেবপুর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, মহাদেবপুর বণিক সভাপতি মনিরুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম কাওসার প্রমুখ।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর যে হামলার ঘটনায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাঁর ওপর হামলা যে ঘটনা ঘটেছে তা সুপরিকল্পিত। এটা নিচক কোনো চুরির ঘটনা হতে পারে না। কেন এভাবে একজন ইউএনওর ওপর হামলা হলো তাঁর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সহপাঠী গোলাম কাওসার বলেন, ‘একজন পরোপকারী ও সৎ মানুষ হিসেবে এলাকার সবাই তাঁকে জানে। তাঁর ওপর এ ধরণের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লিচুবাগান এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, মাঠপর্যায়ে একজন ইউএনওকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। কারও স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটার কারণে ইউএনও অনেক শত্রু তৈরি হতে পারে। ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুবৃর্ত্তরা। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ এসে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে। আহত ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এন্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর বাবা ওমর আলী শেখ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Facebook Comments